
প্রকাশিত: Wed, Jan 11, 2023 7:23 AM আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 3:29 AM
ঢাকা লিটফেস্ট প্রসঙ্গ
নির্মলেন্দু গুণ
দশ হাজার টাকার সম্মানি নিয়ে আমি একবার বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত লিটফেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ওই একবারই। আরও একবার গিয়েছিলাম কি? মনে করতে পারছি না। একবারেরটাই মনে আছে। তারপর ওরা আর আমাকে ডাকেনি। কেন ডাকেনি? কেন ডাকে না? বাইরে কিছু না বললেও এই প্রশ্নটা আমার মনের ভিতরে ছিল। বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক যখন এই ফেস্টিভালের বিরুদ্ধে কিছু লেখকদের নিয়ে মিছিল করেছিলেন, তখন আমি কিন্তু এই লিটফেস্টের পক্ষেই ছিলাম। এমতাবস্থায় আমাকে তো আরও বেশি করে ডাকাই উচিত হতো। তবে আমাকে না ডাকার সম্ভাব্য কারণ কী হতে পারে, তা সন্ধান করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছেÑ আমি যে ওই উৎসবে কবিতা পড়ার জন্য দশ হাজার টাকা সম্মানি চেয়েছিলাম, মনে হয় ওটা ওঁরা আমার প্রাপ্য বলে মানতে পারেননি। তাই ওঁরা আমাকে আর ডাকেন না। শর্তহীন অংশগ্রহণে যারা রাজি, সম্ভবত সেইসব কবি সাহিত্যিকদেরই ওঁরা ডাকেন।
আমি তাতে কিছু মনে করি না। আজকাল কোনো অনুষ্ঠান আমাকে টানেও না। একসময় অনুষ্ঠানে যেতে ভালো লাগতো, এখন না যেতেই ভালো লাগে। নোবেল লরিয়েট বা আমার চেয়ে দামি কবি-সাহিত্যিক দেশ-বিদেশের বাজারে আমার চেয়ে কম দামে পাওয়া গেলে, আমাকে তাঁরা ডাকবেনই বা কেন? এটাও ভাবি। ঝযধৎরভ ঘধভধ অংধননবৎ, আপনি লিটফেস্টে অংশগ্রহণের যোগ্যতার প্রসঙ্গটি তুললেন বলে আমি আমার অভিজ্ঞতাটা বললাম। আমাকে না-ডাকার অন্য কোনো অজানা কারণও থাকতে পারে, যা আমি জানি না। পুনশ্চ : লিট ফেস্টের উদ্যোক্তারা চাননি আমার কবিকন্ঠ /শ্রুত হোক বাংলা একাডেমির আকাশে বাতাসে/তাদের অপপ্রয়াস সফল হয়নি। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা কলকাতার জনপ্রিয় কবি জয় গোস্বামী নাকি ওই অনুষ্ঠানে আমার একটি কবিতা মুখস্ত আবৃত্তি করেছে। এই সুখপ্রদ খবরটা আমাকে জানিয়েছিল বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা দীপঙ্কর দাশ। কবিতার নামটা দীপঙ্কর ঠিক বলতে পারেনি। আজ সকালে জয় গোস্বামীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলো দীপঙ্করের মাধ্যমে। জয় বললো, আমার কবিতাটির নাম ‘জালনোট’। আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থের কবিতা এটি। জালনোট কবিতাটি জয় ছাড়া আর কেউ আবৃত্তি করেছেন, এই কবিতার মূল্য বুঝেছেনÑএমন একজনের কথাও আমার মনে পড়লো না। আমার প্রিয় অনুজকবিকে ধন্যবাদ জানালাম আমার কবিতাটি ‘যথাস্থানে’ মুখস্ত আবৃত্তি করার জন্য।
জয় বললো, আমার আরও অনেক কবিতা নাকি ওঁর মুখস্ত আছে। আমার ধারণা ছিলো জয় আমার কবিতা খুব একটা পছন্দ করে না। জয় আমার ধারণা ভুল প্রমাণ করে দিলো। জয় ও ওরঁ স্ত্রীকে আমি আশীর্বাদ জানলাম। আমাকে বাদ দিয়ে লিটফেস্ট করতে চাইছিলা? হইলো কিছু? হইলো না। পারলা না। তীরে এসে তরী ডুবলো। তোমাদের অতিথি কবি জয় গোস্বামী তোমাদের ভুল ধরিয়ে দিয়ে গেলো। আমি যাই বা না যাইÑ ভিন্ন কথা। তাই বইল্যা তোমরা আমারে আমন্ত্রণ জানাবা না? বোকার দল! ভালা হইয়া যাও। লেখক: কবি। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
